প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস

শিবালয় থানা সদরের সন্নিকটে সদরউদ্দিন সাহেবের সুযোগ্য পুত্র জনাব আব্দুল মজিদ মিয়া এলাকার কতিপয় শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্বের সহায়তায় ১৯৯২ সালে গোড়াপত্তন করেন শিবালয় সদরউদ্দিন ডিগ্রি কলেজটি। তৎকালীন সময়ে আরিচাঘাটে ধণাঢ্য ব্যক্তির অভাব না থাকলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য নিজের সর্বস্ব উজাড় করে দিয়ে কলেজ প্রতিষ্ঠা করার মত লোকের বড়ই অভাব ছিল। বর্তমান সময়ের দিকে তাকালে জনাব আব্দুল মজিদ মিয়ার মত ত্যাগী মানুষ বিরল।

নানা প্রতিকূলতার মাঝে শুরু হয় কলেজটির কার্যক্রম। অগ্রযাত্রায় ছাত্র-ছাত্রীর অভাব, শিক্ষকের অভাব এবং অর্থের অভাব ছিল। প্রতিষ্ঠাকালীন শিক্ষক বর্তমান অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. বাসুদেব কুমার দে শিকদার, প্রতিষ্ঠাকালীন অধ্যক্ষ জনাব আঃ সাত্তার সাহেব সহ অন্যান্য শিক্ষকদের অসামান্য ত্যাগের বিনিময়ে কলেজটি অগ্রসর হতে থাকে। নানা প্রতিকূল পরিবেশে জন্ম হয় ছোট একটি কলেজের। মাত্র একটি চৌচালা ঘরে শুরু হয় পাঠদান। প্রতিষ্ঠাকালীন প্রভাষক সংখ্যা মাত্র ১০ জন। বিনা পারিশ্রমিকের চাকরি, তাই শিক্ষকের অভাব। এমন সময় আব্দুল মজিদ মিয়ার পাশে এসে দাঁড়ায় এলাকার আরেক জনদরদী, সমাজ সেবক, শিক্ষানুরাগী জনাব আলহাজ্ব আঃ রহিম খান সাহেব। কাঁধে তুলে নেন কলেজের গভর্ণিংবডির সভাপতির দায়িত্ব। শুরু হয় কলেজটির নতুন যাত্রা। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে কলেজটির ছাত্র-ছাত্রী। ২০০৯ সালে ২৩ ডিসেম্বর তারিখে প্রতিষ্ঠাকালীন অধ্যক্ষ মহোদয়ের চাকুরীর মেয়াদ শেষ হলে অধ্যক্ষের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন বর্তমান অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. বাসুদেব কুমার দে শিকদার। এরপর শুরু হয় কলেজের এক নতুন যুগান্তকারী অধ্যায়। কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি জনাব আলহাজ্ব আব্দুর রহিম খান সাহেবের অনুপ্রেরণায় অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. বাসুদেব কুমার দে শিকদার যুগান্তকারী কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তিন তলা নতুন ভবন, ১৩২ ফিট টিনসেট ভবন নির্মাণ, প্রাচীর নির্মাণ, খেলার মাঠ ভরাট, শহিদ মিনার নির্মাণ, ৪র্থ তলা ভবন নির্মাণসহ প্রভূত উন্নয়ন সাধিত হয়। বর্তমান অধ্যক্ষ মহোদয় দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর ডিগ্রি পাস কোর্স, অনার্স পর্যায়ে ৫টি বিষয়, উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে বিজ্ঞান শাখা, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে উচ্চ মাধ্যমিক (বিএমটি) শিক্ষাক্রম, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এইচ.এস.সি প্রোগ্রাম চালুসহ নানাবিধ কার্যক্রম গ্রহণ করেন।

বর্তমানে অত্র কলেজে প্রায় ৩ হাজার ছাত্র-ছাত্রী নিয়মিত অধ্যয়নরত রয়েছে। কলেজটি বিভাগীয় এবং জাতীয় পর্যায়ে লেখাপড়া, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে সাফল্য বয়ে এনেছে। পরীক্ষার ফলাফল, ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা, বিভিন্ন সহশিক্ষা কার্যক্রমে জাতীয় ও বিভাগীয় পর্যায়ে কলেজটির অর্জন, প্রতিষ্ঠানের অবস্থানগত দিক এবং প্রতিষ্ঠানটির আওতাধীন শিক্ষক, কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীদের আর্থ সামাজিক দিক বিবেচনায় মূল্যায়নের ভিত্তিতে কলেজটি জাতীয়করণের তালিকাভূক্তি হলে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর উচ্চ শিক্ষা লাভের পথ সুগম হবে।

নোটিশ বোর্ড

সকল নোটিশ